@user8932494223512: রাতুলের এই দুনিয়ায় ওর মা ছাড়া আর কেউ নেই|রাতুলের যখন দেড় বছর তখন ওর বাবা মারা যায়| ওর মা লোকের বাড়িতে কাজ করে |রাতুল এখন আর দেড় বছরের নেই|সে এখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে | সে সকালের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি করে স্কুলে যাই |ওর বন্ধুরা সবাই স্কুলে সািকেল নিয়ে আসে| ওর বন্ধুরা ওকে জিজ্ঞেস করে তোকে এখনো সাইকেল কিনে দেয়নিই| রাতুল,না এখনো কিনে দেয়নিই |তবে মা বলেছে এই সপ্তাহের মধ্যেই কিনে দিবে| বন্ধুরা, এখন চল খেলতে যাই| দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ চলে যাই কিন্তু রাতুলকে তার মা এখনো সাইকেল কিনে দেয়নিই | সে স্কুলে তার বন্ধুরা ওকে জিজ্ঞেস করে তোকে সাইকেল কিনে দেয়নিই | না এখনো দেয়নিইতবে তাড়াতাড়ি করে কিনে দিবে|রাতুল ওদেরকে বলে,তোরা আজকে খেলবি না | ওরা সবাই খেলতে যাই | প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও ওদের গ্রামেকালি পূজা হবে|গ্রামের সবাই অনেক খুশি| শুধু খুশি নেই রাতুলের মনে | কারণ তার মা তাকে কোনো বছরই নতুন জামা কিনে দিতে পারে না| এ বছরও হয়তো তাকে নতুন জামা কিনে দিবে না| এ কথা ভাবতে ভাবতে সে স্কুলে যাচ্ছিল পথে তার বন্ধুদের সাথে দেখা হয়| সে ভেবেছিল হয়তো ওর বন্ধুদের সাথে গল্প করলে তাঁর ভালো লাগবে|সে তাঁর বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে যাচ্ছিল| হঠাৎ করে তাঁর বন্ধুরা পূজার কেনাকাটা নিয়ে কথা বলতে থাকে| তাঁরা কে কি রকম জামা কিনবে এইসব নিয়ে| হঠাৎ করে তাঁর বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করে সে এবছর জামা কিনবে না| আমিও এবছর নতুন জামা কিনব | ওর বন্ধুরা বলে কেন শুধু শুধু মিথ্যা কথা বলছিস |তুই তো প্রত্যেক বছর একই কথা বলস কিন্তু কোনো বছরই তো নতুন জামা কিনিস না| রাতুল, তাড়াতাড়ি করে চল স্কুলের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে |এ কথা বলে সে তার বন্ধুদেরকে নিয়ে স্কুল যাই| স্কুল শেষে বাড়ি চলে আসে |বাড়িতে সে মন খারাপ করে বসে থাকে| তার মা কাজ করে বাড়ি চলে আসে| তাকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে তার মা বুঝতে পারে কেন তাঁর মন খারাপ | রাতুল সেখান থেকে উঠে চলে যাই| তাঁর মা তাকে রাতে খাবার খাওয়ার জন্য ডাকলে তাঁর খিদে নেই সে ঘুমিয়ে পড়ে| সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে অনেক বেলা হয়েছে কিন্তু তার মা এখনো তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডেকে তুলেনিই| সে ভাবে হয়তো তাঁর মা কাজে চলে গেছে| তাই সে জলদি করে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যখন ঘরের বাইরে আসে তখন সে দেখতে পায় তাঁর মায়ের ঘরের দরজা বন্ধ | সে মনে করে হয়তো তাঁর মায়ের আজকে ঘুম ভাঙ্গে নিই| তাই সে তাঁর মাকে ডাকতে যাই| কিন্তু অনেক ডাকার পরেও তাঁর মায়ের সাড়া পায়না|সে ভয় পেয়ে যাই | সে জলদি করে পাশের বাড়ির কাকাকে ডাক দেয় | তার কাকাডাকে তবু্ও তাঁর মা দরজা খুলে না| তাই তাঁর কাকা গ্রামবাসীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ফেলে |রাতুল দেখে তার মা আর বেঁচে নেই|রাতুল কান্না ক করতে নাগল| তখন সে হঠাৎ শুনতে পায় তাঁর মা যে বাড়িতে কাজ করে সেই বাড়ির মালিক বলতেছিল তাঁর মায়ের মৃত্যু নাকি খবার না খাওয়ার জন্য হয়েছে| তখন ওই লোকটি বলে তাঁর মা নাকি তাদের বাড়িতে ঠিকমতো খাবার খেত না | এক বেলা খেলে আরেক বেলা খেত না| শুধু সারাদিন কাজ করত | রাতুলের মায়ের নাকি অনেক টাকার প্রয়োজন | সে নাকি তাঁর ছেলেকে সাইকেল, নতুন জামা কিনে দিবে | তাই সে তার ছেলের জন্য টাকা জমাত| রাতুল ওই লোকটার কথা শুনে তাঁর মায়ের ঘরের ভিতরে খুজে দেখল তাঁর মা তাঁর জন্য একটা কৌটার ভিতর টাকা জমিয়ে রেখেছে| সে তাঁর মায়ের পুরনো কথা মনে করতে করতে করতে অঝোরে কান্নাকরতে লাগে| গল্পটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন এবং আমাকে ফলো দিয়ে রাখবেন |