@si.ju.ka5: #তোমাতেই_আসক্ত #তানিশা_সুলতানা Part 17 ( শেষ অংশ) আদ্রিতা দাঁড়িয়ে পড়ে। দু পা এগিয়ে এসে এ্যানিকে কোলে তুলে নেয়৷ এবং মাথা নিচু করে বলে "ঘুরতে এসেছিলাম। যাচ্ছি বাসায়। বলেই হাঁটতে শুরু করে। আবরার গাড়ি থেকে নামে। বড় বড় কদমে আদ্রিতার সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রথমেই হাত থেকে ফোনটা টেনে নিয়ে ছুঁড়ে মারে দূর অজানায়। ফোন খানা কোথায় গিয়ে পড়ে তার হদিস নেই। আদ্রিতা বড় বড় নয়নে তাকায় আবরারের পানে। " এটা কি করলেন আপনি? মায়ের ফোন এটা। ফেললেন কেনো? কৈফিয়ত দেওয়ার মতো মানুষ আবরার নয়। তাই কোনো কৈফিয়ত না দিয়ে আদ্রিতার বা হাত খানা মুঠোয় পুরে নেয় এবং টানতে টানতে নিয়ে আসে গাড়ির নিকটে। আদ্রিতা সমান তালে বকবক করতে থাকে "কি করছেন আপনি? আমাকে জোর করতে হবে না। ভালোভাবে বললেই আমি গাড়ি বসবো। হাত ছাড়ুন। টানটানির দরকার নেই তো। তবে সেই সব কথা শোনে না আবরার। গাড়ির দরজার কাছে এনে আদ্রিতার হাত ছেড়ে দেয়। পরপরই নিজে বসে পড়ে ড্রাইভিং সিটে। এবং আদ্রিতাকে টেনে নিয়ে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়। আশ্চর্য আদ্রিতার কয়েক সেকেন্ড সময় লেগে যায় কোথায় বসে আছে বুঝতে। পরপরই অনুভব করে তার পিঠের ওপর দিয়ে একটা দড়ি চলে গেলো। মানে গাড়ির সিট বেল্ট বেঁধে নেয় আবরার আদ্রিতাসহ। " এ...এটা কি করছেন? এভাবে কি করে যাবো? আমাকে পাশে বসিয়ে দিন নিচু স্বরে বলে আদ্রিতা। এ্যানি পড়ে আছে পাশের ছিটে। সে গাড়িতে উঠতে পেরেই খুশি। আদ্রিতার সাথে কি হচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই। আবরার যেনো শুনছেই না আদ্রিতার কথা। তবে আদ্রিতা চুপ থাকতে পারছে না। এভাবে বসা যায়? ছিহহহ ছিহহহ। অস্বস্তিতে জেঁকে ধরেছে। লজ্জায় গাল দুটো টকটকে লাল রং ধারণ করেছে। চোখের সামনে আবরারের প্রসস্থ বুক ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। নাকে ভেসে আসছে জেন্টস পারফিউম এর কড়া ঘ্রাণ৷ গলা শুকিয়ে কাঠ কাঠ হয়ে গিয়েছে। ইতোমধ্যেই হাত পায়ে মৃদু কম্পন অনুভব করছে। আদ্রিতা পূণরায় বলে "ভাইয়া আমাকে বাকি টুকু শেষ করার আগেই আবরার চাপা স্বরে চলে ওঠে " আ'ম ইউওর হাজব্যান্ড চলবে... #তোমাতেই_আসক্ত #তানিশা_সুলতানা #পর্ব১৮ #চিত্রাঙ্গনা