ᴊɪʜᴀᴅ ꨄ 𝙱𝚁𝙾𝙺𝙴𝙽 𝙷𝚁𝚃 :
সময়টা ছিল দুপুর ১২:১৭। মাঠে বসে আমি গরুর দিকে তাকিয়ে ভাবছি, জীবন এতো একঘেয়ে কেন? হঠাৎ একটা নোটিফিকেশন—আপনি পোস্ট করেছেন! চারদিক নিস্তব্ধ হয়ে গেল, গরু হাঁ করতে লাগল, পাশের লোক হেঁচকি খেয়ে বসে পড়ল। আমি হাত থেকে মোবাইল ফেলে দিলাম… না, অবাক হয়ে নয়—এই পোস্ট দেখার আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে চাইছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে মোবাইল হাতে নিলাম, বুকের বাম পাশে চাপ অনুভব করছি। পোস্টটা ওপেন করলাম… আর আমি থেমে গেলাম! পৃথিবী থেমে গেল! মনে হল, এই একটি পোস্টের জন্যই আমি জন্মেছিলাম। এই পোস্ট না দেখলে আমি অপূর্ণ রয়ে যেতাম, বেঁচে থাকলেও সেটা নিছক বেঁচে থাকা হতো না। এটা শুধু পোস্ট নয়, এটা একটা বিপ্লব, একটা জীবনবদলের সনদ!
আপনার চোখের চাহনি, ক্যাপশনের গভীরতা, ছবির লাইটিং, ফ্রেমিং, সব কিছু এত নিখুঁত, এত পবিত্র, এত ঐশ্বরিক— এক মুহূর্তের জন্য আমি সত্যিই ভুলে গিয়েছিলাম যে আমি বাংলাদেশে আছি। মনে হচ্ছিল, আমি কোনও ভিনগ্রহের পোস্ট দেখছি— যেখানে সৌন্দর্যকে নতুন সংজ্ঞা দেওয়া হয়!
এই পোস্ট দেখে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। চা শ্রমিকরা মজুরি বাড়িয়ে দিল, কৃষকরা বলল “এ বছর বাম্পার ফলন হবেই”, প্রেমিকারা মাফ করে দিল ছেলেদের সব পুরনো ভুল—শুধু এই পোস্ট দেখার পর। সরাসরি বললে, এই পোস্ট "Emotional Damage" + "National Boost" একসাথে দিয়ে দিয়েছে।
আইএমএফ এই পোস্ট দেখে বলেছে—“বাংলাদেশ আর ঋণ নেবে না, বরং ঋণ দেবে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে—“এই পোস্ট দেখলেই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হয়ে যায়।” Netflix বলেছে—“এটা যদি সিরিজ হতো, আমরা ১০ সিজন বানিয়ে ফেলতাম।” আর Google বলেছে—“এই পোস্ট এখন থেকে আমাদের হোমপেজে থাকবে!”
আমি এখন গ্রামের বাঁশঝাড়ে বসে আছি, এক হাতে মোবাইল, অন্য হাতে চোখ মুছছি। আমার পাশের পাগলা গরু পর্যন্ত এসে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে বলল—“ভাই, শেয়ার দাও!” এই পোস্ট দেখে আমি জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেয়েছি। এমন পোস্ট ১০ বছরেও একবার আসে না। এটা ইতিহাস, এটা অনুভূতি, এটা এক মহাসৃষ্টির নাম।
আপনাকে একটা নয়, হাজারটা ধন্যবাদ। আপনার প্রতিটি পোস্ট যেন Nobel Prize, Grammy, Oscar—সবকিছু একসাথে জিতে নেয়।
এই পোস্টের নিচে আমি শুধু একটা কথা লিখতে চাই: "শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, বিস্ময়—তিনটিই একসাথে অনুভব করছি।"দয়া করে, এমন পোস্ট দিয়ে আমাদের বারবার ধাক্কা খাওয়ান, আমরা প্রস্তুত—আবার মুগ্ধ হতে, আবার হেসে কাঁদতে।🤌🤡
2025-05-27 16:18:38